এই গ্রামে বাস করত দুইজন গরীব ছেলে।তারা ছিল অনেক সরল সোজা।তাদের মনে কোন খারাপ চিন্তা ছিল না। তারা কোন জটিল কাজ ও কথাবার্তা কিছুই বুঝতো না। তারা এতই সরল ছিল যে যাতে তাদের অন্য মানুষের সব তোমাযবিপদে ফেলা চেষ্টা করত। কিন্তু তারা সবসময় সবাইকে বন্ধুত্ব চোখে দেখতো। তারা কখনো বুঝতো না যে কে আমাদের ভালোবাসা আর কে আমাদের মন্দ চায়। কার সঙ্গে না যে আর কার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকা উচিত।এই দুয়েছে ঘরের ছেলেকে নিয়ে তার বাপ মায়ের জন্য দুশ্চিন্তায় মেতে থাকতো। তারা যেহেতু সরল সোজা তারা পড়ালেখা ও তেমন ভালো ছিল না।তার বাবা-মা ভাবতো তারা যদি ঠিকমতো পড়াশোনা করে তাহলে তারা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে তাদের কোনটা ভালো বোঝার কোনটা মন্দ হচ্ছে তারা বুঝতে পারবে তা জানি যাদের ভালো নিজের চলতে পারবে। কিন্তু তারা এতটাই বড় ছিল যে তারা পড়ালেখাটাও ঠিকমতো করতে পারতো না তাদের ম্যাডাম ক্লাসের ম্যাডাম বারবার তার বাপ মার কাছে নালিশ করতো। তার বাপ মা তাদের নিয়ে খুব বিরক্ত বোধ করত। তার বাপ মা সব সময় টেনশনে থাকতো যে আমার ছেলেরা যদি একটু পড়াশোনা ভালো হতো বা তাদের মধ্যে যদি একটু পড়ালেখার চেষ্টা থাকতো। তাহলে তারা অনেক দূর আঘাতে পারতো আমরা করে বলে। ওদের জন্য অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু ওদের পড়ার লেখা দেখুন আগ্রহ নেই।
ম্যাডামের আচরণঃ
ম্যাডাম তাদের নিয়ে সবসময় বিরক্ত বোধ করতো। কারণ তারা পড়ালেখা এতটুকু ভালো ছিল না। তারা সব সময় একেবারে বেঞ্চের পেছনে বস্তু যাতে ম্যাডাম তাদের ধরা ছোয়ার নাহিরে থাকতো। ম্যাডাম মনে কত যে ওরা স্কুলে আসার থেকে না আসা ভালো। কারণ তিনি যে এত কষ্ট করে পরাতো কিন্তু কোন তাতে কিছুই লাভ ছিল না।তারা দুইজনে একেবারে বেঞ্চে শেষ প্রান্তে বস্তু যাতে ম্যাডাম তাদেরকে দেখতে না পায়।সব সময় ম্যাডাম তাদের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছে যাতে তারা এত লেখাপড়া ভালো হয় তারা নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে কিন্তু তাদের কাজ থেকে ম্যাডাম কোন সাড়া পায় নি।এজন্য ম্যাডাম ওদের চিন্তা ছেরে দেয়। ম্যাডামের জন্য ওদের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেল তাদের আর তেমনভাবে মেলায় পড়ালেখা করা তো না তারা বাসা থেকে যেভাবে ম্যাডাম তাদের কোন ধরনের পড়াও জিজ্ঞেস করত না। ওদেরকে ওর বাবা-মা অনেক চিন্তায় থাকত যেন তারা একটু ভালো পড়ালেখা করতে পারে এজন্য ম্যাডামের কাছে দাঁড়াবেনা। ম্যাডামের নজর যেন তাদের উপর থেকে না এটাই তার বাবা-মার একমাত্র প্রার্থনা। তার বাবা-মা সব সময় ম্যাডাম করতে পারেন। ম্যাডাম তার বাবা আমাকে শুধু শুধু কাজ করতো না।
ছাত্র-ছাত্রীদের চেষ্টাঃ
আসলে প্রত্যেক বাবা-মায় যায় তা ছেলে মেয়েটা একটু ভালো করে পড়ালেখা যাতে করতে পারেন। কিন্তু বাবা-মার অনেক কষ্ট থাকে পেছনে লুকিয়ে কিন্তু অনেক ছেলে মেয়ে তা বুঝতে পারে আবার অনেক ছেলে তা অবহেলা করে দেয়। যে ছেলে মেয়ে বুঝতে পারে যে আমার বাবা-মা অনেক কষ্ট করে আমার জন্য তো করছে আমি তাদের ডাকে সাড়া দে যারাই একমাত্র জীবনে উঠে দাড়িয়েছে নিজের ভাই নিজে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মানুষ কখনো নিজের পা নিজে দাঁড়ায় দাঁড়িয়েছে তারা কঠোর পরিচালন এবং চেষ্টা দ্বারা এতদূর আসতে পেরেছে যারা কঠোর পরিচালন এবং চেষ্টা করে নেয় তারা মাছ খেতে ভেঙ্গে পড়েছে। একজন শিক্ষক এবং একজন বাবা মায়ের শুধু ও একজন ছাত্র-ছাত্রীকে এ তার শীর্ষ পথ দেখিয়ে দিতে পারে কখনো তাকে ঠেলে থাকে তার পথের রাস্তা দিয়ে দিতে পারবে না তা নিজে যদি চেষ্টা নাই থাক। আমরা এইরকমই একটি গল্প তুলে ধরেছে এখানেও তার বাবা-মার অনেক চেষ্টা এবং ম্যাডামের অনেক চেষ্টা ছিল কিন্তু ও ছাত্র ছাত্র দুইটার কোন চেষ্টা না থাকার কারণে তারা জীবনে কিছুই করতে পারেন।তার বাবা মা ছিল অনেক গরীব কিন্তু তা ঘরে থাকা সত্তা তারা এমন একটা মানুষের পিছনে টাকা পয়সা ব্যয় করতেছিল এবং একজনের কাছ থেকে আশা করতে ছিল তাদের আশা ছিল তারা একজন ভালো পড়ালেখা করে বড় হবে কিন্তু তাদের মধ্যে সেই রকম মানসিকতা ছিল না। একজনকে বোঝানো যায় বলা যায় কিন্তু তাকে কখনো জোর করে ওই রাস্তা পরিক্রমা করানো যায় ন। ওদেরকে ম্যাডাম অনেক বুঝিয়েছে অনেক হাতে ঘড়ির মত চেষ্টা করেছে তার মা-বাবার অনুরোধ রোদে অনেক চেষ্টায় ম্যাডাম তাদের পেছনে করেছে অনেক সময় ব্যয় করেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাডাম ব্যথা হয়ে গেল কারণ তাদের মধ্যে সেরকম কোন আগ্রহ ছিল না। প্রত্যেক মানুষকে সামনে দিকে আগাতে হবে এবং আগামী লক্ষ্য স্থির করতে হবে যে আমি আর দেরি হবে আমাকে কেন আমি কেন পারব না এই চেষ্টা যার মধ্যে আছে সে জীবনে অনেক দূর আঘাতে পারব। আমরা উপরে অনেক কিছুই আলোচনা করেছি এখন আমরা মূল গল্পে ফিরে যাচ্ছি । নিজের মূল গল্পটি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।
গল্প কাহিনীঃ
এ গ্রামে বাস করত এক কৃষকের দুইজন ছেলে।তারা সর্বদাই খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। তাদের পড়ালেখার কথা বললে যেন তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়তো। তারা পড়ালেখার নামটাই যেন শুনতে পারতো না।কিন্তু তার মা-বাবা অনেক কষ্ট করে তাদের পড়ালেখা করানোর চেষ্টা করত।একদিন তাদের স্কুলে ভ্রমন করার জন্য ভিজিটর আসবে।তখন ম্যাডাম তাদের বলল কালকে জন্য তোমাদের স্কুল ছুটি থাকবে তোমরা স্কুলে আসবেনা। তারা অনেক খুশি মনে আনন্দে বাড়ে গেল যে কালকে তাদের জন্য ছুটি হয়ে গেছে ম্যাডাম তাদের ছুটি দিয়েছে। এই কথা তার মা যখন পরের দিন শূন্য পদের তখন মারতে মারতে বলে সবার স্কুল খোলা রয়েছে সবাই স্কুলে যাচ্ছে তোরা আমার কাছে মিথ্যা কথা বলে স্কুল ফাঁকি দিচ্ছে। তখন তার মা তাদের পিটিয়ে ফাটিয়ে স্কুলে পাঠানো যখন তারা স্কুলে উপস্থিত হলো ম্যাডামের চোখ যেন আকাশ কপালে উঠে গেল।ম্যাডাম ভাবতে লাগলো আজকে তো আমাদের স্কুলে ভিজিটর আসবে ওদের কারণে আমাদের স্কুলের বদনাম হবে ওদের আমি কালকে আসতে না করেছে তাও এসেছ কেন তোমরা তখন ম্যাডামের প্রশ্নের উত্তরে ওরা বলে ম্যাডাম আমরা আসতে চাই নি। তখন ম্যাডাম বলে সমস্যা নেই থাক ভালো তুমি বেঞ্চে তুলে লুকিয়ে পড় ভারত তুমি বাথরুমে গিয়ে কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকো ভিজিটর যখন স্কুল ভ্রমন অন করে চলে যাবে তখন তোমরা বেঞ্চে এসে আবার বসে থেকো। ম্যাডাম যেরকম তাদের বলল তারা সেই রকম করল। ভালো চলে গেল বেঞ্চের নিচে আর ভালো চলে গেল বাথরুমে। যখন ভিজিট তাদেরকে ক্লাস গুলো ভ্রমন করে ওই ক্লাসে আসলো তখন অনেক ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল তখন ঐ উপসে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভিজিট জিজ্ঞেস করল তোমাদের মধ্যে ভালো ছাত্রক। হ্যাঁ দাড়াও তখন ভালোভাবে বেঞ্চের তল থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো আমি ভাল। ভিজিটর হাসতে হাসতে বলতে লাগলো তুমি বেঞ্চের তলে কি করতেছিল। তখন ভালো কিছু জবাব দিল না ভালো চোখ জামা দাঁড়িয়ে রইলো । ভারত তখন ভিজিটর আবার ভালো কে প্রশ্ন করল ভারত কোথায় অবস্থিত তখন বলল ভালো বললো ভারত বাথরুমে অবস্থিত। সাথে তখন ভিজিটর বলল তুমি আমার সাথে মজা করছ এরকম মজা করতে নেই ঠিকমতো বল ভারত কোথায় অবস্থিত তখন পুরো মাংশ মেয়ের ভিজিটরকে দেখানোর জন্য ডিজিটরের হাতে বাথরুমের দিকে নিয়ে বলল স্যার এই ভালো তখন ভিজিট দেখল একটা ছেলে বাথরুমে বসে আছে এবং তাকে জিজ্ঞেস করল তুমি এখানে কেন বলল স্যার আমি ভার। তাদের এই সুন্দর প্রশ্নের উত্তর শুনে ভিজিটার হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি। এবং তাদের জন্য একটা পুরস্কার এর ব্যবস্থা করল । তারা একটা পুরস্কার পেল এবং অনেক আনন্দের সাথে বাড়ি চলে গেল